Ganesh Chaturthi puja at home: সরল উপায়ে গনেশ চতুর্থী পূজা করুন ঘরে

সনাতন ধর্মে ভগবান গণেশের গুরুত্ব অনেক বেশি। যেকোনো পূজা শুরু করার পূর্বে গণেশের পূজা (Ganesh Chaturthi puja at home) করা হয়। তাছাড়া অনেকে অনেক রকমের গনেশ মূর্তি ঘরে রাখেন সৌভাগ্য, শান্তি ও উন্নতিকে আকর্ষণ করার জন্য। 

শিব ও পার্বতী পুত্র গণেশকে হিন্দুদের সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা বলে মনে করা হয়। ভাদ্র এবং আশ্বিন মাসে চতুর্থীর শুক্লপক্ষে এই গণেশ চতুর্থী উৎসব পালিত হয়। সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত বিশ্বাস করা হয়, যে নিষ্ঠা করে সিদ্ধিদাতার পুজো (Ganesh Chaturthi puja at home) করলে গৃহে সুখ শান্তি বজায় থাকে, ব্যবসা ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি ও সমস্ত রকম বাধা দূর হয়।

ganesh abhisek

Table of Contents

Ganesh Chaturthi puja at home: পূজা পক্রিয়া

  • ঘট, আম পল্লভ, সিস্ ডাব, শাঁখা-পোলা, আলতা, সিঁদুর,  দুটো পৈতে, লাল ফুল, দূর্বা, মৌলি সুতো, গোলাপ জল গামছা, চাঁদমালা।
  • গঙ্গামাটি অথবা ফুল গাছের তলার মাটি, গঙ্গাজল না থাকলে পরিষ্কার টেপের জল।
  • পাঁচ রকম অথবা সাত রকম অথবা এগারো রকমের গোটা ফল, একুশটি মোদক, অথবা লাড্ডু।

Ganesh Chaturthi puja at home: আসন প্রতিষ্ঠা

পুজোর দিন (Ganesh Chaturthi puja at home) হলুদ রঙের আসন পেতে আসনের প্রতিষ্ঠিত ভগবান গণেশকে বসান। সবুজ,  লাল এবং হলুদ রং সিদ্ধিদাতা গণেশের অত্যন্ত প্রিয়। ঘরের মেঝেতে একটা আল্পনা এঁকে নিন। আর যদি প্রতিষ্ঠিত গনেশ না থাকে তাহলে কাঠের জলচৌকির উপরে হলুদ রঙের আসন পেতে তার উপর গঙ্গাজল ছিটিয়ে কিছু ফলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে সিদ্ধিদাতা গণেশকে স্থাপন করুন।

লাল সিন্দুরের ফোঁটা সহযোগে তিনটি পান পাতা নিয়ে তার উপর একটু আতপ চাল, দুর্বা, ফুল, শুকনো হলুদের আটি এবং এক টাকার কয়েন রাখতে হবে। তিনটি পান পাতার মধ্যে দুটি পান পাতা ( ভগবান গনেশের দুজন স্ত্রী ঋদ্ধি এবং সিদ্ধির উদেশ্যে ) গনেশ ঠাকুরের দুইদিকে রাখতে হবে। এই দুইদিকের পানপাতার উপর দুটি লাল সিন্দুরের ফোঁটা দিয়ে সুপোরী রাখতে হবে। আর একটি পান পাতা গনেশ ঠাকুরের সামনে রাখতে হবে।

Ganesh Chaturthi puja at home: স্নানাভিষেক পর্ব

পুজো (Ganesh Chaturthi puja at home) শুরু করার আগে গঙ্গাজল হাতে নিয়ে  আচমন  করে নিতে হবে। আচমন করে জল শুদ্ধি, পুষ্প শুদ্ধি মন্ত্র পাঠে পূজার জল ও পুষ্প শুধু করে নিতে হবে।

যে কোনো বিশেষ পুজোয় একটা ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালানো খুব শুভ। ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে এবার সিদ্ধিদাতা গণেশের স্নানাভিষেক শুরু করতে হবে। বিশেষ পূজায় লাল চন্দন সহযোগে পঞ্চ দ্রব্য দিয়ে পঞ্চামৃত তৈরী করে  স্নানাভিষেক করানো হয়। 

 ভগবান গণেশকে আসন থেকে নামিয়ে পঞ্চামৃত দিয়ে স্নানাভিষেক করতে হবে। স্নানাভিষেকের সময় ওঁম গণেশায় নমঃ মন্ত্র উচ্চারণ করে ক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

গণেশের ধ্যান

একটি পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ভালো করে মুছে দিতে হবে ভগবান গণেশকে। তারপর আসনে প্রতিস্থাপন করতে হবে। স্নান করানোর পর এই স্নানের জলটা চরণামৃত হিসেবে নেওয়া যেতে পারে। ভগবান গণেশকে ফুল, ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে দিতে হবে।

Ganesh Chaturthi puja at home: ঘট স্থাপন পর্ব

ঘট প্রতিষ্ঠা করার জন্য গঙ্গা মাটি আর জল মিশিয়ে একটা চ্যাপ্টা গোলা বানিয়ে মেঝেতে রেখে তার উপর সিন্দুরের ফোঁটা, পঞ্চশস্য, দুর্বা এবং সামান্য একটু ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে হবে। এবার ঘটে উপর সিঁদুর দিয়ে একটা মঙ্গল চিহ্ন এঁকে নিতে হবে। 

ঘট স্থাপনের পক্রিয়া বিশদে উল্লেখ করা হয়েছে বিপদতারিনী পূজার পেইজে। ঘটে ছাদন হিসাবে ছোট লাল গামছা ঘটের উপরে দিয়ে দিতে হবে। ঘটে একটি পৈতে, চাঁদ মালা দিতে হবে। তারপর ঘটে লাল চন্দনের ফোঁটা দিতে হবে। এবার উলু ধ্বনি দিতে দিতে মঙ্গলঘট ভগবান গণেশের সামনে স্থাপন করতে হবে। ঘটে নতুন চাঁদ মালা দিতে হয়।

এতে গন্ধ পুষ্পে ওঁম গণেশায় নমঃ মন্ত্রে হাতে লাল চন্দন সহযোগে দূর্বা, লাল ফুল নিয়ে সিঁধিদাতা গণেশের উদ্দেশ্যে ঘটে নিবেদন করতে হবে। ওঁম গং গণেশায় নমঃ মন্ত্রে হাতে ফুল দূর্বা বেলপাতা নিয়ে ভগবান গনেশের চরণে নিবেদন করতে হবে। 

ঘট স্থাপন পর্ব

Ganesh Chaturthi puja at home: সিঙ্গার ও পুষ্প নিবেদন

সিঁদুর দিয়ে সিদ্ধিদাতা ভগবান গনেশের কপালে ফোঁটা দিতে হবে। একইভাবে রিদ্ধ সিদ্ধকে সিঁদুরের ফোঁটা দিতে হবে। সামান্য আতপ চাল ঠাকুরের কপালে দিতে হবে একই ভাবে ঋদ্ধি সিদ্দিকেও একটু আতপ চাল অর্পণ করতে হবে। বস্ত্রস্বরূপ এই মৌল সুতো আমি সিদ্ধিদাতা গণেশকে নিবেদন করতে হবে। মৌল সুতো যেকোনো দশকরমার দোকানে সহজে পাওয়া যাবে। রিদ্ধি সিদ্ধিকেও পুষ্প নিবেদন করতে হবে।

সাতটা করে দুর্বা নিয়ে তিনটি করে গুচ্ছগুলো তৈরি করে নিতে হবে। মৌল সুতো দিয়ে গুচ্ছগুলো বেঁধে নিতে হবে। লাল চন্দন সহযোগে এই দুর্বা গুচ্ছগুলো এতে গন্ধে পুষ্পে গণেশায় নমঃ নমঃমন্ত্রে সিদ্ধিদাতা গণেশকে নিবেদন করতে হবে। একটি গুচ্ছ গণেশের ডান দিকে অন্যটি  বাম দিকে আরেকটি গণেশের চরণে বা মাথায় দেওয়া যেতে পারে। গণেশ চতুর্থীর দিনে একুশটি দুর্বা সিদ্ধি দেবতা গণেশকে নিবেদন করা অত্যন্ত শুভ বলে ধরা হয়। ওঁ গং গণেশায় নমঃ মন্ত্রে একটি  পৈতে গণেশ ঠাকুরের উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে হবে।

Ganesh Chaturthi puja at home: পুষ্পাঞ্জলি করা

এবার হাত জোর করে গনেশ ঠাকুরের উদ্দেশ্যে প্রণাম মন্ত্র পাঠ করতে হবে।

গণেশের প্রণাম মন্ত্র:-

একদম লম্বর বিঘ্নবিনাশ দেবমং প্রণাম ওম সর্ব

বিঘ্ন বিনাশায় সর্ব কল্যাণ হে তবে পার্বতী প্রিয়

পুত্রায় গণেশায় নমঃ নমঃ জয় গণেশ জয় গণেশ জয় গণেশ।

গণেশ জয় গণেশ জয় গণেশ।

গণেশ জয় গণেশ জয় গণেশ।

প্রণাম মন্ত্র পাঠ শেষ করে ধ্যান মন্ত্র উচ্চারণ করে লাল চন্দন সহযোগে ফুল, বেলপাতা ও দূর্বা হাতে নিয়ে ভগবান গনেশের উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে হবে।  

গণেশের ধ্যান মন্ত্র:- 

ওঁ  খর্ব্বং স্থলতনু`ং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরম্, প্রত্যন্দন্মদগন্ধ-লুব্ধ-মধুপ-ব্যালোল-গণ্ডস্থলম্ ।। 

দন্তাঘাতবিদারিতারি-রুধিরৈঃ সিন্দুর-শোভাকরম্, 

বন্দে শৈলসুতা-মুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।

এবার তিনবার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র উচ্চারণ করে লাল চন্দন সহযোগে ফুল, বেলপাতা ও দূর্বা হাতে নিয়ে ভগবান গনেশের উদ্দেশ্যে নিবেদন করতে হবে। 

পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র:- ও বক্রতুণ্ড মহাকায় সূর্য্যকোটি সমপ্রভ। নির্বিঘ্নং কুরু মে দেব সৰ্ব্বকার্য্যেযু সর্ব্বদা।

Ganesh Chaturthi puja at home: ভোগ নিবেদন

চাল আর কলা দিয়ে একটি নৈবেদ্য সাজাতে হবে। এই নৈবেদ্য ভগবান গণেশকে নিবেদন করতে হবে। লাড্ডু ছাড়াও অন্য মিষ্টান্ন নিবেদন করা যেতে পারে। সম্ভব হলে পাঁচ থেকে সাত রকমের মিষ্টি এবং পাঁচ রকমের ফল ভগবানকে নিবেদন করা যাবে। পান করার জন্য জল নিবেদন করতে হবে প্রতিটি ভোগের উপর এবং পানীয় জলের উপর লাল চন্দন সহযোগে ফুল আর বেলপাতা দিতে হবে।  

সিদ্ধিদাতা গণেশের লাড্ডু এবং মোদক খুব প্রিয়। গণেশ চতুর্থীর দিনে অবশ্যই একুশটি মোদক যদি দেওয়া যায় তা খুব শুভ বলে মনে করা হয়। ভোগের পাত্রের নিচে একটি বেলপাতা দিয়ে রাখতে হবে আর ভোগের উপর ওঁম গণেশায় নমঃ মন্ত্রে ফুল বেলপাতা দিতে হবে। আজকের দিনে পাঁচ রকম অথবা সাত রকম অথবা এগারো রকমের গোটা ফল ঠাকুরকে নিবেদন করতে হয়।

Ganesh Chaturthi puja at home: আরতি পর্ব

পড়ুন ঘরোয়া পূজার সাধারণ নিয়মপ্রত্যেক পূজার আরতি পদ্ধতি একই পধতিতে করা হয়ে থাকে। কিছুক্ষেত্রে নিয়মে কিছু পরিবর্তন থাকে তবে অধিকাংশ পূজার আরতির নিয়ম একই হয়ে থাকে। 

Ganesh Chaturthi puja at home:অষ্টোত্তর শতনাম

পূজার (Ganesh Chaturthi puja at home) আরতি সম্পন্ন করে শ্রীশ্রীগণেশের অষ্টোত্তর শতনাম পাঠ করে পূজা শেষ করতে হবে। পূজা শেষ করার আগে নিজের মনোবাঞ্ছনা জানিয়ে পূজায় কোনো ভুল ত্রটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে পূজা সম্পন্ন করতে হবে।

শ্রীশ্রীগণেশের অষ্টোত্তর শতনাম

পুরাণভারতী শ্রীধনপতি হালদার কর্ত্তৃক সঙ্কলিত

প্রথমে গণেশ নাম রাখিল পাবক | ১
পরে নাম গণাধিপ রাখিল ত্র্যম্বক || ২
যত সিদ্ধগণ মোর নাম রাখে গণ | ৩
নাম রাখে গণাগ্রহী নমুচিসূদন || ৪
নাম রাখে গণাধ্যক্ষ যত তুরাসাহ | ৫
গণেশ্বর নাম দিল শ্রীগন্ধবাহ || ৬
নাম দিল গণনাথ ভ্রাতা কার্ত্তিকেয় | ৭
নাম রাখে গণদেবেশ্বর রৌহিনেয় || ৮
গণচলবাসী নাম দিল শ্রীভাস্কর | ৯
গণনায়ক নামে ডাকে দেব ক্ষপাকর || ১০


নাম দিয়েছেন গণরাজ বিরূপাক্ষ | ১১
নাম রাখিলেন গণকর্ত্তা সহস্রাক্ষ || ১২
গণপতি নামে ডাকে তাঁর পিতা হর | ১৩
নাম রাখে গজানন দেব দামোদর || ১৪
নাম দিল গৌরীসুত মহাদেবী তারা | ১৫
গজকর্ণ নাম দিলেন মুনি শ্রীঅঙ্গিরা || ১৬
দানিলেন গজবক্ত নাম সেই মনু | ১৭
বিনায়কেশ-পুত্র নাম রাখিলেন ভানু || ১৮
গুহাগ্রজ নাম রাখিলেন সুরপতি | ১৯
নাম দিল সুরাগ্রজ দেব বৃহস্পতি || ২০


নাম রাখে উমাপুত্র যে মেনকারাণী | ২১
বিঘ্ন বিনাশন নাম দিল অব্জযোনি || ২২
বিঘ্নরাজ নাম দিল বৃহতিসূদন | ২৩
নাম দেন বিঘ্নকর্ত্তা রুক্মিণী-রমণ || ২৪
নাম দিল বিঘ্নহারী দেব ত্রিপুরারি | ২৫
বিঘ্ন বিনায়ক নাম দিল শম্বরারি || ২৬
বিঘ্নসিদ্ধি নাম দিয়েছেন কংসাবতি | ২৭
বিঘ্নেশ নাম দিয়েছেন প্রজাপতি || ২৮
নাম দেন বিঘ্ন-বিনাশক খগেশ্বর | ২৯
বিঘ্নহর্ত্তা নাম দিয়েছেন নাগেশ্বর || ৩০


পার্ব্বতীপ্রিয় নাম দেন মাতামহী | ৩১
নাম রাখিলেন হরসূনু মহামতী || ৩২
এক নাম হেরম্ব দিলেন ইন্দিরা | ৩৩
নাম দিয়েছেন স্থূলকর্ণ চারুধারা || ৩৪
দেবেরদেবেশ নাম দিয়েছিল বিষ্ণু | ৩৫
স্কন্দাগ্রজ নাম রাখিলেন শ্রীবিষ্ণু || ৩৬
নাম দেন মহাকায় ঋষি কাত্যায়ন | ৩৭
প্রিয়ঙ্কর নাম রাখিলেন নারায়ণ || ৩৮
কাম অরিসূনু নাম রাখেন হারিত || ৩৯
রুদ্রপ্রিয় নাম তাই দিলেন লিখিত | ৪০


সুমুখ তার নাম রাখিল সম্বর্ত্ত | ৪১
সর্ব্বেশ্বর নাম রাখেন সকল অমর্ত্ত || ৪২
সুলেখক নাম দিল বেদব্যাস | ৪৩
ভারত-লেখক নাম দিয়েছে কৈলাস || ৪৪
ভালচন্দ্র নাম ভাল দিয়েছে উষণা | ৪৫
অভীষ্টদায়ক নাম দেন দেবসেনা || ৪৬
নাম দিল চন্দ্রমৌলি নিজেই দম্ভোলি | ৪৭
মূষিকবাহন নাম দিয়েছে মাতালি || ৪৮
বজ্রতুন্ড নাম দিয়েছেন বজ্রানি | ৪৯
সদাদান নাম দিয়েছেন বীণাপাণি | ৫০


পাশহস্ত নাম দিল ইন্দ্রায়ূধ শম্ব | ৫১
শুভদাতা নাম দিয়েছেন আপস্তম্ব || ৫২
অত্রি দিয়েছেন ত্রিলোচন ভাল নাম | ৫৩
মাতা জগদ্বাত্রী দিল চতুর্ভূজ নাম || ৫৪
একদন্ত রাখে নাম শ্রেষ্ঠ ঐরাবত | ৫৫
বিকট আর নাম রাখেন মরুত || ৫৬
রাখিলেন সিদ্ধি নাম মহর্ষি গৌতম | ৫৭
সিদ্ধিসেনাগ্রজ নাম রাখেন শ্রীযম || ৫৮
সিদ্ধিদাতা নাম ভাল রাখেন বিষ্ণুরথ |৫৯
সিদ্ধি বিনায়ক নাম রাখে শাতাতপ || ৬০


নাম রাখে সিদ্ধযোগী ঋষি বাচস্পতি | ৬১
সিদ্ধসাধক নাম রাখে পশুপতি || ৬২
সিদ্ধিরূপ নামেতে ডাকে সুরজ্যেষ্ঠ | ৬৩
নাম রাখে সিদ্ধদেব সূনু গ্রহশ্রেষ্ঠ || ৬৪
যজ্ঞসিদ্ধি নাম রাখিলেন ক্রুতু | ৬৫
মন্ত্রসিদ্ধি নাম রাখিলেন শতক্রতু || ৬৬
যোগসিদ্ধি নাম ডাকে সাংখ্য কপিল | ৬৭
জপসিদ্ধি নাম রাখিল অনিল || ৬৮
দানসিদ্ধি নাম রাখে দৈত্যরাজ বলি | ৬৯
কর্ম্মসিদ্ধি নাম রাখিলেন মহাশূলী || ৭০


নাম রাখে কামসিদ্ধি দত্তাত্রেয় ঋষি | ৭১
তপঃসিদ্ধি নাম রাখে শান্ডিল্য মহর্ষি || ৭২
সর্ব্বসিদ্ধিদাতা নাম রাখেন দেবর্ষি | ৭৩
দানিল সর্ব্বজ্ঞ নাম জনক রাজর্ষি || ৭৪
স্বস্তিদঃ নাম রাখিলেন শ্রীদক্ষ | ৭৫
তাঁর নাম দানিলেন ঋদ্ধিদঃ ঋভুক্ষ || ৭৬
ঋতজ্ঞান নাম দানিলেন বিরিঞ্চি | ৭৭
ঋতধাম নাম দিয়েছেন শ্রীমরীচি || ৭৮
ঋতম্ভরা নাম দিয়েছেন পাতঞ্জল | ৭৯
দিলেন ঋতম নাম সপ্তর্ষি মন্ডল || ৮০


সত্যম্ আর নাম রাখেন পুলহ | ৮১
গুণাতীতম নাম দেন পিতামহ || ৮২
নাম দিয়েছেন পুরুষম শ্রীপুলস্ত্য | ৮৩
কৃষ্ণপিঙ্গলাম নাম দিলেন অগস্থ্য || ৮৪
শুদ্ধাত্মা নাম তবে দিলেন কর্দ্দম | ৮৫
মহামৃত্যুসুত নাম দানিলেন যম || ৮৬
ভক্তবত্সল নাম রাখেন ইন্দ্রানী | ৮৭
সর্ব্বভীষ্টপ্রদ নাম রাখিল রোহিণী || ৮৮
শৈলাসুতাসুত নাম রাখে হিমালয় | ৮৯
ভক্তের পরমাগতি বলেন মৃত্যুঞ্জয় || ৯০


দ্বিরদানন নাম দিয়েছেন খগেশ্বর | ৯১
সর্ব্বশুভঙ্কর নাম রাখিল শঙ্কর || ৯২
বিনায়ক নাম ভাল দেন বিনায়িকা | ৯৩
দ্বৈমাতুর নাম দিলেন চন্ডিকা || ৯৪
বরেণ্য নাম দিল স্বয়ং ভার্গব | ৯৫
ভর্গ নাম দিয়েছেন ভক্ত ধ্রুব || ৯৬
অক্ষর নাম ভাল দিলেন অর্য্যমা | ৯৭
নিত্যমুক্ত স্বভাব নাম দিয়েছেন রমা || ৯৮
নাম দিয়েছেন ব্রহ্মবর্চ্চস বশিষ্ঠ | ৯৯
ব্রহ্মভূয় নাম রাখিলেন সুরজ্যেষ্ঠ || ১০০


ব্রহ্মযোগ নাম রাখিলেন বিশ্বামিত্র | ১০১
সুব্রহ্মণ্যাগ্রজ নামে ডাকেন শ্রীমিত্র || ১০২
প্রণবস্বরূপ নামে হন সনাতন | ১০৩
অদ্বৈত্বস্বরূপ হন জগত্কারণ || ১০৪
অস্তর্য্যামিস্বরূপ আর নাম ব্রহ্মরূপ | ১০৫-৬
জ্যোতির্জ্জ্যোতিস্বয়ংজ্যোতি পূর্ণব্রহ্মস্বরূপ || ১০৭-৮
অষ্টোত্তরশত নাম কহি সবিস্তারে |
অতি গোপনীয় যাহা কহিনু প্রচারে ||


ফিরে যাও পিতৃভক্ত রায় ভগীরথ |

পূর্ণ হবে অচিরেই তব মনোরথ ||

গঙ্গা আনিবারে বিঘ্ন যত দূর হবে |
কহিনু নিশ্চয় পিতৃগণে উদ্ধারিবে ||
অতি গুহ্য নাম স্তব বিঘ্ন বিনাশক |
অতীব সুযোগ্য যাহা আনন্দ বর্দ্ধক ||
এই পাঠ যেই জন করে অধ্যয়ন |
কোন পাপ তারে নাহি করিবে স্পর্শন ||
সকল কামনা তার পুরিবে নিশ্চয় |
অবশ্য সর্ব্ব বিঘ্ন নাশ তার হয় ||
হবে বিদ্যার্থীর বিদ্যা নির্ধনের ধন |
অপুত্রকের পুত্র হবে দীর্ঘ আয়ুষ্মান ||
রমণী লভিবে তার পতি মনোমত |
দীর্ঘ আয়ুধারী আর রূপগুণ যত ||
উত্তম পুত্র পাবে রূপগুণবান |


রূপে গুণে কন্যা পাবে লক্ষ্মীর সমান ||
পূর্ণ তার ধনে জনে হইবে সংসার |
দানে মুক্ত হস্ত অন্তে স্বর্গে বাস তার ||
ঈশ্বরে অচলা ভক্তি অবশ্য হইবে |
অন্তে কৈলাসেতে স্থান অবশ্য লভিবে ||
কার্য্যারম্ভে গণপতি করিলে স্মরণ |
করিবে অবশ্য তার বিঘ্নের নাশন ||
ভাদ্রপদ মাঘ আর অগ্রহায়ণেতে |
কিংবা শ্রাবণ মাসে শুক্লা চতুর্থীতে ||
সুন্দর প্রতিমা মূর্ত্তি করিয়া গঠন |
অথবা ঘটেতে করি গণেশ অর্চ্চন ||
এই অষ্টশত নাম যে জন জপিবে |
সকল বাসনা পূর্ণ অবশ্য হইবে ||

।। শ্রীশ্রী গণেশের অষ্টোত্তর শতনাম সমাপ্ত ।।

Ganesh Chaturthi puja at home: পূজা সমাপ্ত

Leave a Comment