How to do Durga Puja at home: সহজ পদ্ধতিতে ঘরে করুন দূর্গা পূজা

আমরা এই নিবন্ধে জানবো কিভাবে আপনার ঘরে Durga Puja (Durga Puja at home) করবেন। অনেকেই চায় নিজেদের ঘরে দূর্গা পূজা (Durga Puja at home) করতে কিন্তু পূজার কঠিন নিয়ম-নীতি আর খরচের কথা ভেবে অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মায়ের পূজা করে উঠতে পারেনা।

দূর্গা পূজা (Durga Puja) বাঙালি ও অবাঙালি সবার কাছে আবেগের পূজা। প্রতি বছর দুই সময়ে দূর্গা পূজা (Durga Puja) হয়ে থাকে। বছরের প্রথম দিকে বৈশাখ মাসে বাসন্তী পূজা আর শরৎ কালে হয় শারদীয়া বা আমরা যাকে দূর্গা পূজা বলে থাকি, বাঙালির প্রধান পূজা। 

Table of Contents

Durga Puja at home: কিভাবে করবেন

আমরা এরকম কিছু সহজ উপাচার উল্লেখ করবো যেগুলো অনশরণ করে পুজোর তিনদিন যে কেউ দূর্গা পূজা (Durga Puja) নিজেদের ঘরে অনায়াসে করতে পারবেন। Durga Puja -র খরচ ও থাকবে সাধ্যের মধ্যে, এই পূজার খরচ তিন থেকে চার হাজার টাকার মধ্যেই হয়ে যাবে।

Durga Puja at home
Source: Belur Math

ঘরে দূর্গা পূজা করতে কি কি লাগে?

Durga Puja at home -র উপকরণ:

  • ফুল (অপরাজিতা ফুল, লাল জবার মালা অবশ্যই দরকার), দুটো পানপাতা, লালফুল, সিস্ ডাব, পদ্ম ফুল, বেল পাতা, মাটির ঘট/ কলস, আম পল্লভ, বেলপাতার মালা( আপনি বেলপাতা কিনে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন ), দূর্বা।

  • দুটো পৈতে, পাঁচরকমের ফল, পাঁচরকমের মিষ্টি, দুটো চাঁদমালা, ছোট গামছা।

  • একটি পঞ্চপ্রদীপ, একটি মাটির প্রদীপ, একুশটি মাটির প্রদীপ অষ্টমী সন্ধি পুজোর জন্য, পঞ্চ শস্য, অতোব চাল, সুপোরী, গঙ্গামাটি অথবা ফুল গাছের তলার মাটি এবং গঙ্গাজল না থাকলে পরিষ্কার টেপের জল। ।

  • সিঁদুর, আলতা, শাঁখা- পোলা, শাড়ী, মালা, লবঙ্গ, এলাচি এবং লাক্সমির কড়ি।

Durga Puja at home -র প্রণালী

মহাপূজার তিনদিন একই পদ্ধতিতে পূজা শুরু করতে হবে।  আচমন পর্ব থেকে মা দুর্গার জপ মন্ত্র পাঠ পদ্ধতি একই থাকবে।  পুস্পঞ্জলি মন্ত্র পূজা বিশেষে আলাদা হবে। আরতি কিভাবে করতে হবে তা বিশদে পূজার সাধারণ নিয়ম পেইজেতে উল্লেখ করা হয়েছে।

মায়ের অভিষেক

ঘরে দূর্গা পূজার (Durga Puja) চার দিন মায়ের অভিষেক করতে হবে একই পদ্ধতিতে।

মায়ের অভিষেকের নিয়ম

একটা তাম্র পাত্রে গঙ্গাজল, গোলাপজল, আগ্রো, চন্দন, ফুল এবং অষ্টগন্ধা মিশিয়ে অভিষেকের জল তৈরী করতে হবে। তারপর মার অভিষেক করতে হবে। 

যদি মার ছবিতে অভিষেক করতে হয় তাহলে একটি পরিষ্কার সূতির কাপড় সেই জলে ভিজিয়ে, ভালো করে চিপে শুকনো করে মায়ের ছবিটি মুছে নিতে হবে।। 

মাটির মূর্তি হলে শঙ্খ দিয়ে করা যেতে পারে। শঙ্খ দিয়ে মায়ের মূর্তির সামনে আরতি করার মতো করে চক্রকারে করা যেতে পারে।

দূর্গা পূজার (Durga Puja) চার দিন এই একই উপচারে মার অভিষেক করতে হবে। অভিষেকের অর্থ হচ্ছে স্নান করানো।)

অভিষেকের পর:

মাকে সাঁজানো

সপ্তমী পূজোর দিন:

Durga Puja -র প্রথম দিন মাকে সাজাতে হবে নিম্নলিখিত ভাবে।

মাকে সিঁদুরের ফোঁটা দিতে হবে একই সঙ্গে যদি আপনার মূর্তিটি অথবা ছবিটিতে মাদুর্গা সপরিবারে থাকেন তাহলে সবাইকে লাল সিঁদুরের ফোঁটা দিতে হবে।  

মাকে মালা পড়ানো, স্বচন্দন বিল্লপত্র, একটি লাল ফুল মায়ের চরণে দিতে হবে। তারপর মাকে চাঁদমালা নিবেদন করতে হবে। মাকে আলতা, শাড়ী,  সিঁদুর এবং শাঁখা-পোলা নিবেদন করতে হবে 

অষ্টমী, নবমী এবং দশমী পূজোর দিন:

মাকে মালা পড়ানো, স্বচন্দন বিল্লপত্র মায়ের চরণে দিতে হবে। একটি লাল ফুল মায়ের চরণে দিতে হবে।

Durga Puja at home -র ঘট স্থাপন

তাম্র ঘটে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন অঙ্কন করতে হবে। একই ভাবে সিস্ ডাব অথবা নারিকেলের উপর স্বস্তিক অঙ্কন করতে হবে। আম পল্লভের প্রতিটি পাতায় সিঁদুর ফোঁটা দিতে হবে। 

গঙ্গা মাটির উপর অতোব চাল, পঞ্চশস্য দিয়ে ঘট বসাতে হবে। ঘটে গঙ্গা জল দিয়ে একটি সুপোরী, একটু অতোব চাল ঘটের  জলে দিতে হবে। তারপর ঘটের উপর আমি পল্লভ দিতে হবে। আম পল্লভের উপর সিস্ ডাব অথবা নারিকেল রাখতে হবে। সিস্ ডাবের উপর পৈতে, চাঁদমালা, ফুলের মালা এবং গামছা রাখতে হবে। 

একটি আলাদা পান পাতায় তিনটি সিঁদুর ফোঁটা যুক্ত সুপোরী সহ তিনটি সিঁদুর ফোঁটা যুক্ত হলুদের গাঁট, একটি হরিতকি ধুর্বা দিয়ে মায়ের সামনে রাখতে হবে।

ঘট স্থাপন

Durga Puja at home -র ঘট স্থাপন মন্ত্র

যদি মন্ত্র পাঠ কঠিন হয় তাহলে ঘট স্থাপন মন্ত্র ছাড়াও করা যেতে পারে।

ঘট স্থাপন করে, হাত করজোড় করে এই মন্ত্র বলতে হবে:-

ওঁ সর্বতীর্থোদভবং বারি সর্বদেবসমন্বিতম্।

ইমং ঘটং সমারুহ্য তিষ্ট দেবী গনৈ: সহ ।।

ঘট স্পর্শ করিয়া তিনবার এই মন্ত্র পাঠ করতে হবে :-

ওঁ স্থাত স্বীং স্থিরো ভব।

ওঁ তুর্ভুবঃ স্বঃ তৎ সবিতুর্বরেণ্যং ভর্গো দেবস্য ধীমহি ধিয়ো যো নঃ প্রচোদয়াৎ ওঁ।।

নিজের সম্মুখে ভূমিতে বাঁদিকে ত্রিকোণ, তাহার বাইরে বৃত্ত ও তাহার বাহিরে চতুস্কোন মণ্ডল অঙ্কিত কবিয়া তদুপরি পুজা করে এই নিম্নলিখিত মন্ত্র বলতে হবে 

ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে আধারশক্ত্যাদিভ্যো নমঃ।

‘ফট’ মন্ত্রে কোশা স্থাপন করে, ‘নমোঃ মন্ডে জলপূর্ণ করিয়া “ওঁ” মন্ত্রে কোশার অগ্রভাগে ফুল দিতে হবে।  ‘ওঁ’ মন্ত্রে দূর্বা, অক্ষত বিশ্বপত্র, চন্দন, পুষ্প ও তুলসী কোশার জলে নিক্ষেপ করবো, পরে জল স্পর্শ করে নিম্নলিখিত মন্ত্র বলতে হবে

“ওঁ সঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবীর সরস্বতী, নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেইম্মিন সন্নিধিং কুরু।”

Durga Puja at home: পুষ্পশুদ্ধি

পূজার বেলপাতা, দূর্বা, নীল অপরাজিতা ফুল সবগুলোর উপর চন্দন ছিটিয়ে দিতে হবে। পুজোর ফুলগুলিকে শুদ্ধ করে নিতে হবে পুষ্পশুদ্ধি মন্ত্র পড়ে।

Durga Puja at home: ফল নিবেদন

দূর্গা পূজার (Durga Puja) -র তিন দিন ফল নিবেদন করতে হবে।

মাকে গোটা ফল, মিষ্টি, নৈবদ্য( একটি পাত্রে পাঁচটি নারকেল নাড়ু, চাল-ডাল, বাতাসা সহ) মাকে নিবেদন করতে হবে।

fol nibedon

Durga Puja at home: দীপ-ধূপ জ্বালানো

দীপ ধূপ জ্বালিয়ে পূজো শুরু করতে হবে। মা দুর্গার ঘিয়ের প্রদীপ খুব পছন্দ। ঘি দিয়ে একটি মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে নিতে হবে। চেষ্টা করুন পুজোর তিন দিন ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে। তিলের তেল প্রদীপ নিত্য পূজায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

deep lighting

Durga Puja at home: সপ্তমী পূজো শুরুর পর্ব

কপাঁলে সিঁদুর ও চন্দনের তিলক দিতে হবে। তারপর হাতে গঙ্গা জল নিয়ে “ওঁ বিষ্ণু” তিন বার বলে নিজেকে শুদ্ধ করে নিতে হবে।

|| বিষ্ণু স্মরণ ||

হাতজোড় করে বিষ্ণু স্মরণ করে নিতে হবে।

|| সূর্যাঘ্য নিবেদন ||

কোশিতে জল, লাল ফুল, অতোব চাল, রক্ত চন্দন, তিল এবং দূর্বা নিয়ে হাতজোড় করে জপমন্ত্র করতে হবে।

|| সংকল্প করা ||

একটি কুশিতে দুর্বা, তিল, হরিতকি, গঙ্গাজল, লালফুল আতচাল নিয়ে করজোড় করে মন্ত্র জপ করতে হবে।

মন্ত্রঃ- “নমঃ বিষ্ণু তৎ সৎ (মাসের নাম, পক্ষের নাম, তিথির নাম, নিজের গোত্র, শ্রী নিজের নাম, ফল কামনা করে মনে) পূজনং ব্রতং অহং করিষ্যমি।।” – বলে তাম্রপাতে ঢেলে ঢেলে দিতে হবে।

সংকল্পের পর প্রণাম মন্ত্র:- “সংকল্পি তার্থা সিদ্ধাসন্ত”

|| নারায়ণাদির অর্চনা ||

প্রতিটি  মন্ত্র উচ্চারণ করে হাতে কিছু ফল নিয়ে ঘটের উপর নিবেদন করতে হবে।

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ নারায়ণায় নমঃ 

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ শ্রীগুরুবে নমঃ

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ গণেশায় নমঃ

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ দুর্গায়ৈ নমঃ

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ শিবায় নমঃ

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ লাক্সমীদেবই নমঃ

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ স্বরস্বত্যৈ নমঃ

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ কার্তিকেয় নমঃ

এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ সর্ব দেবদেবীভ্যনম নমঃ

|| গুরু প্রণাম ||

মন্ত্র উচ্চারণ করে হাতে কিছু ফল নিয়ে হাতজোড় করে নিম্নলিখিত মন্ত্রে ঘটের উপর নিবেদন করতে হবে।

অখণ্ডমণ্ডলাকারং ব্যাপ্তংযেন চরাচরম্।

তৎপদাং  দর্শিতাং যেন তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ।।

|| ঘণ্টা পূজা ||

হাতে লাল চন্দন সহযোগে কিছু ফুল নিয়ে নিম্নলিখিত মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজার ঘন্টার উপর ছিটিয়ে দিতে হবে।

ঘণ্টা পূজা মন্ত্র :– ওঁ এতে গন্ধপুষ্পে জয়ধ্বনি- মন্ত্র-মাতঃ স্বাহা।

|| গণেশ পূজা ||

গণেশ পুজো দিয়ে ঘরে দূর্গা পূজা শুরু করতে হবে। সবার আগে হাতে ফুল নিয়ে হাতজোড় করে গণেশ মন্ত্র পাঠ করতে হবে।

ganesh puja

|| মাদূর্গার জপমন্ত্র ||

“ওঁ হ্রীং চামুন্ডায়ৈ নমঃ” (তিনবার)

তারপর হাতে ফুল নিয়ে দেবীর নিন্মলিখিত ধ্যনমন্ত্রপথ করতে হবে।

ধ্যানমন্ত্র:ওঁ জটা জুট সমায়ুক্তাম অর্দ্ধেন্দুকৃত শেখরাম। 

লোচন এয় সংযুক্ত্যাং পুর্ণেন্দুসদৃ শাননাম।।

অতসী পুষ্প বর্ণাভাং সুপ্রতিষ্ঠাং সুলোচনাম। 

নবযৌবণ সম্পন্নাং  সর্বাভরণ ভূষিতাম্।।”

প্রণাম মন্ত্র:-

“ওঁ জয়ন্তি মঙ্গলা কালি ভদ্রকালী কপালিনী। 

দুর্গা শিবা ক্ষমাধাত্রি স্বাহা স্বধা নমোহস্ততে।।

ওঁ হ্রীং শ্রীং দুর্গায়ৈ নমঃ”

দেবীর মানস পূজা:- মনে মনে বলতে হবে,

“মা অষ্টশক্তি সহ এখানে এসে আমার পূজা গ্রহন করো, আমার কামনা, বাসনা, রিপু সমূহের ক্ষয় করে আমায় পবিত্র করো”

|| সপ্তমী পূজার পুষ্পাঞ্জলী ||

aroti purbo
Source: Belur Math

আরতি পর্ব শুরু করতে হবে:-

প্রথমে পঞ্চপ্রদীপ দিয়ে আরতি করতে হবে, তারপর ফুল দিয়ে আরতি করতে করে ঘটে উপর দিয়ে দিতে হবে সেই ফুল, সর্বশেষে কর্পূর প্রদীপ দিয়ে পূজা করতে হবে। বিশদে আরতি পদ্ধতি  জানতে হলে পড়ুন।

আরতি পর্ব শেষ করে প্রণাম মন্ত্র পথ করে সপ্তমী পূজা শেষ করতে হবে। 

প্রণাম মন্ত্র:- “এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ নারায়ণায় নমঃ”

Durga Puja at home: সপ্তমী পূজা সমাপ্ত

Durga Puja at home: অষ্টমী পূজো শুরুর পর্ব

অষ্টমী পূজার পুষ্পাঞ্জলী

ঘরোয়া দূর্গা মহাপূজা

(প্রথমবার হাতে পুষ্পে নিয়ে)

হাতে ফুল নিয়ে নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে চামুন্ডে মুন্ডমালিনী।  

আয়ুবারোগ্য বিজয়ং দেহি দেবী নমোস্ততে।।

(দ্বিতীয়বার হাতে ফুল নিয়ে)

নমঃ সৃষ্টিস্তিতিবিনাশং শীক্তভূতে সনাতনি। 

গুনাশ্রয়ে গুনময়ে নারায়ণী নমোস্ততে।।

(তৃতীয়বার হাতে ফুল নিয়ে)

নমঃ শরণাগতদীর্নাত পরিত্রান পরায়ণে। 

সর্বস্যাতিহরে দেবী নারায়নি নমোস্ততে।।

(হাতজোড় করে প্রণাম মন্ত্র)

জয়ন্তি মঞ্চলাকালী ভদ্রকালী কপালিনী। 

দুর্গা শিবা ক্ষমা ধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোস্ততে।।

আরতি পর্ব শুরু করতে হবে:-

আরতি পূজা করার পদ্ধতি। 

আরতি পর্ব শেষ করে প্রণাম মন্ত্র পথ করে অষ্টমী পূজা শেষ করতে হবে। 

প্রণাম মন্ত্র:- এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ নারায়ণায় নমঃ

সন্ধি পূজা :- সন্ধি পুজোর নির্দিষ্ট সময়ে মা দূর্গার সামনে একটি মাটির থালায় 21 -টি  মাটির প্রদীপ ঘি সহযোগে জ্বালাতে হবে। যদি সম্ভব হয় 108 প্রদীপ জ্বালানো যেতে পারে।

সন্ধি পুজো

Durga Puja at home: অষ্টমী পূজা সমাপ্ত

Durga Puja at home: নবমী পূজো শুরুর পর্ব

maa durga

নবমী পূজার পুষ্পাঞ্জলী

(প্রথমবার হাতে পুষ্পে নিয়ে)

কালি কালি মহাকালি কালিকে কালরাত্রিকে।

ধর্ম্মকামপ্রদে দেবি নারায়নি নমোস্ততে।।

(দ্বিতীয়বার হাতে ফুল নিয়ে)

লক্ষি লজ্জ্যে মহাবিদ্যে শ্রদ্ধে পুষ্টি স্বধে ধ্রুবে।

মহারাত্রি মহামায়ে নারায়নি নমোস্ততে।।

(তৃতীয়বার হাতে ফুল নিয়ে)

কলাকাষ্ঠাদিররূপেণ পরিণাম প্রদায়িনী। 

বিশ্বস্যোপরতো শক্তে নারায়নি নমোস্ততে।।

(হাতজোড় করে প্রণাম মন্ত্র)

সর্বস্বরূপে সর্বেশে সর্বশক্তি সমন্বি তে। 

ভয়েভ্যস্ত্রাহি নো দেবি দুর্গে দৌব নমোস্ততে।।

আরতি পর্ব শুরু করতে হবে:-

একই পদ্ধতি 

আরতি পর্ব শেষ করে প্রণাম মন্ত্র পথ করে নবমী পূজা শেষ করতে হবে। 

প্রণাম মন্ত্র:- “এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ নারায়ণায় নমঃ”

Durga Puja at home: নবমী পূজা সমাপ্ত

Durga Puja at home: দশমী পূজা শুরুর পর্ব

দশমী পূজা
Belur Math Puja

বাকি তিনদিনের মতো একই পদ্ধতিতে পূজা শুরু করতে হবে। আচমন করে সূযার্ঘ্য দিয়ে সংকল্প করে নারায়াণদির অর্চনা, ঘন্টা পূজা গনেশ পূজা জপ মন্ত্র পাঠ করে নিতে হবে। তারপর দুর্গার ধ্যান মন্ত্র  পাঠ (শুধু দশমী পূজার দিন ) করতে হবে। সবশেষে দুর্গার পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র  দিয়ে পুষ্পাঞ্জলি পর্ব সমাপন করে আরতি শুরু করতে হবে।

আরতি পর্ব শুরু করতে হবে:-

একই পদ্ধতি 

আরতি পর্ব শেষ করে প্রণাম মন্ত্র পথ করে দশমী পূজা শেষ করতে হবে। 

প্রণাম মন্ত্র:- “এতে গন্ধপুষ্পে নমঃ নারায়ণায় নমঃ”

Durga Puja at home: ঘট বিসর্জন

ঘটের জল ফেলার আগে, সেই জল ঘরের সর্বত্র ছিটিয়ে দেবেন ইহা শান্তির জলের মতো কাজ করবে। নিজের মাথায় এবং ঘরের বাকি সদস্যদের মাথায় একটু ছিটিয়ে দেবেন। চরণামৃত এর মতো করে হাতে কিছটা জল গ্রহণ করবেন। 

শহর অঞ্চলে জলাশয় কিংবা পুকুর পাওয়া খুব চাপের। যদি বাড়ির কাছে পরিষ্কার জলাশয় না থাকে সেক্ষত্রে ঘটের জল ফুল গাছের নিচে অথবা বেসিনে ফেলে দিতে পারেন। একই রকমভাবে পূজার ফুল গুলিকে একটি প্যাকেটে ভরে কোথাও পরিষ্কার জাগায় বা যেখানে নিত্যদিনের বর্জ্য ফেলা হয় সেখানে ফেলে দিতে পারেন।

দূর্গা পূজা সমাপ্ত

Leave a Comment